গাংনীতে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের মহিলাসহ ৮ জন রক্তাক্ত জখম
বোনের নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়া, অকারনে গালাগালি ও উত্যক্ত করা, অশ্লীল কথা বার্তার প্রতিবাদ করায় গাংনীর পল্লীতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে।উপজেলার পলাশীপাড়া (তেঁতুলবাড়ীয়া পলাশীপাড়া বাজার পাড়া) প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের মহিলাসহ কমপক্ষে ৮ জন রক্তাক্ত জখম হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া পলাশীপাড়া বাজার পাড়া এলাকায় এ সংঘষের্র ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন , ইয়াকুব আলীর ছেলে কাঠমিস্ত্রী আবু বকর (১৮), খেজমত আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (১৪), খেজমত আলীর স্ত্রী (মানষিক ভারসাম্যহীন)মোছা:হালিমা খাতুন, নিফাজউদ্দীনের ছেলে হাসান আলী (২৭)ও ইনতাজ আলীর ছেলে সোহেল (২৫) , অন্যদিকে প্রতিপক্ষ সুজাউদ্দীনের ছেলে টেপেন (২৭), মুত জহির মোল্লার ছেলে ইউনুস মোল্লা (৪৫), ইউনুস মোল্লার ছেলে ইলিয়াস হোসেন (২২)। উভয় পক্ষের আহতরা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হাসপাতালে) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার বিবরণে আহত আবুবকর জানান, প্রতিপক্ষরা আমাদের প্রতিবেশী। আমি তেঁতুল বাড়ীয়া বাজারে ফার্নিচারের ব্যবসা করি। আমাদের বিভিন্ন ভাবে ফাঁসাতে চেষ্টা করে। অকারনে আমার মা বোনকে গালাগালি করে। আমার বোনকে উত্যক্ত করে। আমি প্রতিবাদ করলে ইউনুস মোল্লা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে গ্রামের ভাড়াটে মস্তান আজিজুলের ছেলে সেন্টু,রাশিদুল ও জাকারিয়ার ছেলে সেলিমকে (যাদের নামে নারী নির্যাতন ও হত্যা মামলা চলমান)সাথে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র লাঠি সোঠা, হাতুড়ি,শাবল ,রামদা, হাসুয়া, রড নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমাদের রক্তাক্ত জখম করে।
অন্যদিকে প্রতিপক্ষ সেন্টু জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি। ইউনুস মোল্লার ছেলে ইলিয়াসের বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রতিবেশী আবু বকরের পরিবারের উপর সন্দেহ হয়। মূলত এই বিষয়টাকে নিয়ে ঝগড়াঝাটি এবং সংঘর্ষের সৃষ্টি। আমরা মারধর করি নাই ঠেকাতে গিয়েছিলাম।
এব্যাপারে গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামের উভয় পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।