গাংনীতে চাচিকে নিয়ে ভাতিজা উধাও,বাবা ও ছেলের অপকর্মে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
মেহেরপুরের গাংনী কাজিপুর বর্ডার পাড়ায় বাবা ও ছেলের অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়েছে এলাকাবাসী। গত ৭-৮মাস আগে মৃত মোহাম্মদ শাহ’র ছেলে প্রতিবন্ধী ইন্তাজ শাহ্ স্ত্রী শেফালী খাতুন(৪০)নিয়ে পালিয়ে যায় তার আপন ভাই আশরাফ শাহ।অপরদিকে গত শনিবার(১২সেপ্টেম্বর) আশরাফ শাহ্’র ছেলে সবুজ শাহ্(২২) তার আপন চাচা ইরাক প্রবাসী এরশাদ শাহ্’র স্ত্রী শিখা খাতুন(২৬) কে নিয়ে পালিয়ে যাই।
স্থানীয়রা গাংনীর চোখ’কে জানান, আশরাফ শাহ্ ও সবুজ শাহ্ এলাকার অনেক মেয়ের জীবন এভাবে নষ্ট করেছে। তারা প্রায়ই বিভিন্ন মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাই। গত কয়েকদিন আগেও সবুজ শাহ্ তারা আপন কে নিয়ে পালিয়ে গেছে। তারা আরো জানান গত ২ বছর আগে সবুজ শাহ্ তার আপন চাচির সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় সবুজের মা ইনসান দেখে ফেলে। এই অপকর্ম সইতে না পেরে তিনি বিষপানে আত্মহত্যা করেন।
ইরাক প্রবাসী এরশাদ শাহ্ গাংনীর চোখ’কে জানান,গত এপ্রিলে আমার স্ত্রী আমাকে তালাক দিয়ে আমার আপন ভাইয়ের ছেলের সাথে বিয়ে করেছে। যেটি আমি জানতাম না।গত কয়েকদিন আগে এবার থেকে ফেরত আসার কথা শুনে আমার ভাইয়ের ছেলে সবুজের সাথে পালিয়ে যায়।
শিখার মেয়ে শোভা খাতুন গাংনীর চোখ’কে জানান, মা আমাকে ১’শ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেন এই টাকাটা দিয়ে গেলাম তোমাকে তুমি মিষ্টি কিনে খেয়ো। আমি একটু বাইরে যাচ্ছি খুব তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসব। সাংবাদিক যাওয়ার পর, ছোট্ট ০৮ বছরের শোভা সাংবাদিককে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললেন আমার মা কোথায় চলে গেছে।আপনারা আমার মাকে ফিরে এনে দেন।
শিখার’র মা গাংনীর চোখ’কে জানান,শিখার একটি ০৮ বছরের মেয়ে সন্তান রয়েছে। আমার মেয়ে গত ০৫ মাস আগে আমার জামাই এরশাদ শাহ’কে চুয়াডাঙ্গা কাজী অফিস থেকে তালাক দিয়েছে বিষয়টি আমরা জানতাম না।সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,আমার মেয়ে শিখা ও সবুজকে আমরা কখনো মেনে নেব না। তিনি সংবাদটি প্রচার না করার জন্য বারবার অনুরোধ করেন।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান গাংনীর চোখ’কে জানান,এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি,অভিযোগ করলে, ব্যবস্থা নেয়া হব।