গাংনীতে গোল আলু বলায় রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষে নিহত—১,আহত—৮
এক সময় ছিলেন বিএনপির স্থানীয় নেতা। সরকার পরিবর্তন হলে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে মিশে রাজনীতি করতে থাকেন এনামুল হক (৪০)। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর পাল্টে যায় চিত্র। বলছিলাম মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে এনামুল হকের কথা। গতকাল মঙ্গলবার(৬ আগষ্ট) সকালে বিএনপির ডাকা আনান্দ মিছিলে যান এনামুল হক। এনিয়ে স্থানীয় বিএনপি কমীর ঊজ্জল হোসেন এনামুলকে গোলআলু বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ধ্যার দিকে তার মুদি দোকান ভাঙচুর করে এনামুল হক ও তার লোকজন।
এঘটনার জেরে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার বাওট গ্রামের ভূটির দোকান এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নাহারুর ইসলাম নামের একজন নিহত ও দুই ইউপি সদস্যসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় নাহারুর ইসলামের।
আহত হলো , বাওট গ্রামের নাহারুর ইসলামের বড় ভাই আইনাল হক(৬২), আব্দাল হোসেন(৫৮),ইনামুল হক(৪০), ও তার ছেলে সিয়াম (১৭)। অপরপক্ষের আহতরা হলেন, মটমুড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বর মহিবুল ইসলাম(৬৮), আশরাফুল ইসলাম কালু (৫৬), হামিদুল ইসলাম(৪৬) ও আমিরুল ইসলাম (৪০)।
আহত ইউপি সদস্য মহিবুল ইসাম জানান, তুচ্ছ ঘটনায় সন্ধ্যার দিকে বিএনপির স্থানীয় নেতা উজ্জ্বল হোসেনের মুদি দোকান ভাঙচুর করেন ইনামুল হক ও তাদের লোকজন। এনিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায় রাত সাড়ে নয়টার দিকে ইনামুল হক ও তার লোকজন দেশীয় তৈরী অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে থাকে। তারা এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে। এক পর্যায় আমাদের লোকজনও তাদের মহড়া প্রতিরোধ করতে দেশীয় তৈরী অস্ত্র নিয়ে তাদের প্রতিরোধ করেন।
বাওট গ্রামের ইউপি সদস্য সাহাববুদ্দিন ইসলাম জানান, ইনামুল ও তার পরিবারে সদস্যরা বিএনপি করে। ইউপি নিবার্চনে আমার পক্ষে হয়ে তারা কাজ করেছেন।
মটমুড়া ইউনিয়ান বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা বিবাদে জড়ায়। আমার ইউনিয়ানের নেতাকমীর্কে বলা আছে আওয়ামী লীগ সরকারের মত যেন মানুষ হত্যার রাজনীতি না করে। ইউনিয়নের সকল সাধারণ মানুষের জান—মালের হেফাজত করার জন্য কঠর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষে নিহতের খবর দিলেও ঘটনা স্থলে কোনো পুলিশ আসেনি। রাত দেড়টার দিকে নিহত নাহারুলের মরদেহ বাধ্য হয়ে গাংনী থানায় রেখে এসেছে তাঁর স্বজনেরা। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কর্মকর্তারা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।