গাংনীতে খাদ্যশস্য সংগ্রহে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত
মেহেরপুরের গাংনীতে অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে আমন ধান সংগ্রহে প্রস্তুতিমুলক সভা করেছে উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে গাংনী উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রস্তুুতি মুলক সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানমের সভপতিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী। উপজেলা খাদ্য অফিসার মনোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লাভলী খাতুন, কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা, মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, রাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন সেপু, বামুন্দি ইউপি চেয়ারম্যান ওবাইদুর রহমান কমল, ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার পাশা, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কৃষক প্রতিনিধি ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান পলাশসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাগেছে, দেশের ৬৪ জেলার নির্বাচিত ২৭২টি উপজেলায় ‘কৃষক অ্যাপ’ এর মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করবে সরকার। এর মধ্যে গাংনী উপজেলায় অ্যাপ এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করে ধান, গম ও চাউল বিক্রি করতে পারবে সরকার। কৃষকের উৎপাদিত খাদ্যশস্য সরাসরি বিক্রির মাধ্যমে ন্যায্যমুল্য পেতে চালু করা হয়েছে ‘কৃষকের অ্যাপ’ অনলাইনে আবেদন করতে হলে এনআইড কার্ড, কৃষি থাকা বাধ্যতামুলক। আজ থেকে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে কৃষক। তার পর লটারির মাধ্যমে কৃষকদের নির্বাচিত করা হবে। যারা লটারিতে নাম উঠবে সেই সকল কৃষকরাই শুধুমাত্র তাদের উৎপাদিত খাদ্যশস্য বিক্রি করতে পারবেন।
কৃষকদের অনলাইনের বিস্তারিত জানতে ৩৩৩ নাম্বারে কল করলে বিস্তারিত সহায়তা পাওয়া যাবে। তবে কৃষকরা কিভাবে আবেদন করবেন,কিকি সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন করা হলে তোপের মুখে পড়েন উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিাতরা বলেন, প্রস্তুতি মুলক সভা হয়েছে অপ্রস্তুতিতে। এতে কৃষকদের ভোগান্তি বাড়বে এবং অনেক কৃষক আাবেদন থেকে বঞ্চিত হওয়ার শংকা রয়েছে বলেও জানান অতিথিবৃন্দরা।
গাংনী উপজেলা খাদ্য অফিস জানান, এবছর আমন ধানের মুল্য নির্বারণ করা হয়েছে ১১২০ টাকা মন। লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০৭ মেঃ টন। চাউলের মুল্য নির্ধারণ হয়েছে ১৬৮০ টাকা মন। লক্ষমাত্রা ১১৯ মেঃ টন। সংগ্রহের সময় ১৭ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখ থেকে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইং পর্যন্ত।