গাংনীতে কাঁচা মরিচের বাজারের উর্ধ্বগতি
হাতেগোনা কয়েক দিনের ব্যবধানে আজ শুক্রবারে মেহেরপুর গাংনী ঐতিহ্যবাহী হাট বামুন্দি বাজারে স্বরে জমিন ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি মরিচ ২’শ থেকে ২’শ ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি মরিচ ১’শ থেকে ১’শ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।বেশ কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন সাপ্তাহিক হাট ঘুরে দেখা যায় চাষিরা ট্রাক ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন শহর এলাকায় বিক্রয়ের জন্য মরিচ নিয়ে যাচ্ছেন।মেহেরপুর জেলায় ব্যাপক ভাবে কাঁচা মরিচের উৎপাদন হওয়ায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে পাঠাচ্ছেন।যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে সিংগাপুর, মালেশিয়া পর্যন্ত রপ্তানি করা হচ্ছে।
তবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কিছু কিছু মরিচ ক্ষেতে পচনধরা শুরু করেছে বলেও জানান মরিচ চাষিরা।
নওদা মটমুড়া গ্রামের মরিচ চাষী রবিউল ইসলাম গাংনীর চোখ’কে জানান,গতকয়েক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি মরিচ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করেছিলাম। আজ বাজারে মরিচের আমদানি কম হওয়ায় ২’শ থেকে ২’শ২০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি হচ্ছে মরিচের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকটা আলোর মুখ দেখেছেন মরিচ চাষিরা তিনি আরও বলেন যদি বাজারে মরিচের দাম না কমে তাহলে বিঘা প্রতি জমিতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারবেন। তুলনামূলকভাবে আমদানি কম হওয়ায় বাজার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে এবং হিমসিম খেতে হচ্ছে চড়া মূল্যে মরিচ ক্রয় করতে ।
ভবানীপুর গ্রামের মরিচ চাষী রফিকুল ইসলাম গাংনীর চোখ’কে জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মরিচ ক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও সেটি হয়নি।আজ জমি থেকে ৭০ কেজি মরিচ উঠিয়েছি এবং সেই মরিচ বামুন্দিহাটে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে এসেছি। ব্যবসাহীরা আমার কাছে ২’শ টাকা কেজি ধরে মরিচ কিনতে চাচ্ছে একটু দাম বেশি পেলে মরিচ বিক্রয় করে দেব। গত সপ্তাহেও ১’শ থেকে ১’শ২০ টাকা দরে মরিচ বিক্রি করেছিলাম
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন গাংনীর চোখ’কে জানান,১৫ দিন আগে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কিছু কিছু মরিচ ক্ষেত পচন ধরে জমিতে নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারনে বাজারে মরিচের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।এছাড়াও তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে মরিচ ধরছে কম ফুল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।