গাংনীতে কর্মকর্তাদের অদক্ষতায় নষ্ট হলো ৩০ একর জমির ধানের গাছ, ক্ষতি প্রায় কোটি টাকা

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  07:25 PM, 07 July 2024
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

চিৎলা বিএডিসি ফার্মের উপসহকারী পরিচালক ও যুগ্ম পরিচালকের অদক্ষতায় নষ্ট হলো ৩০ একর জমির ধান গাছ। যুগ্ম পরিচালক মোরশেদুল ইসলামের একান্ত কাছের লোক নাজিমুদ্দিনের দেওয়া নিম্নমানের কীটনাশকের পুড়েছে ধান গাছ। এতে সরকারের ক্ষতি প্রায় কোটি টাকা।

চলতি বছর মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চিৎলা পাট বীজ খামারে ১২০ একর জমিতে আউস ধানের চারা রোপন করা হয়। জমিতে আগাছা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিৎলা বিএডিসি ফার্মের যুগ্ম পরিচালক মোরশেদুল ইসলামের একান্ত কাছের লোক নাজিম উদ্দিন বালতিতে ভরে কীটনাশক প্রয়োগের জন্য লেবারকে দেন। কীটনাশক প্রয়োগের কয়েক দিনের মধ্যেই ধানের চারা গাছ গুলো মরতে শুরু করে। তবে কি ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি কর্মরত লেবারদের। অভিযোগ রয়েছে নিম্নমানের কীটনাশক ও সার, যুগ্ম পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম নাজিম উদ্দিন এর মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা থেকে তার একান্ত ডিলারের মাধ্যমে ফার্ম নিয়ে আসেন। আর সেই সার কীটনাশক ব্যবহার করায় দিন দিন কমেছে ফলন। আর ফার্মের উপ-পরিচালকগণ কোন প্রকার পরামর্শ বা সহযোগিতা করেন না বলে অভিযোগ কৃষকদের।

ফার্মে কর্মরত লেবাররা বলছেন, ধানের জমিতে অনেক আগাছা জন্মেয়. তাই নাজিম উদ্দিন তাদেরকে কীটনাশক প্রয়োগ করতে বলেন। সেই কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে ৩০ একর জমির ধান গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ফার্মের কোটি টাকার ধান নষ্ট হয়েছে। কীটনাশকের বোতলের আলামত নষ্ট করার জন্য ধান গাছ মারা যাওয়ার একদিনের মাথায় তৈরি ঘড়ি করে নাজিম উদ্দিন বোতলগুলো পুড়িয়ে ফেলেন। কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, নাজিম উদ্দিনের অনুমতি ব্যতীত কোন কাজ করতে পারেন না উপসহকারী কর্মকর্তারা। নাজিমুদ্দিন এখানকার যুগ্ম পরিচালকের মত ভাব নিয়ে কাজ কাম করেন, এ ক্ষমতা দিয়ে রেখেছেন যুগ্ম পরিচালক স্যার মোরশেদুল ইসলাম বলে জানান ফার্মের লেবাররা।

সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত নাজিম উদ্দিন ফার্ম ছেড়ে পালিয়ে যান।

পরে সাংবাদিকরা কীটনাশকের বোতল সংগ্রহ করে গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেনের কাছে নিয়ে আসলে তিনি বলেন, যে কীটনাশক গুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো আগাছা নাশক। এই কীটনাশক বেশি ব্যবহার করলে ধান গাছের গোড়ায় ধীরে ধীরে পচন ধরে এমনটাই জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি চিৎলা ফার্মের যুগ্ম পরিচালক মোশশাদুল ইসলাম, ও উপসহকারী কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে মেহেরপুর বিএডিসির উপ-পরিচালক শামীম হায়দারকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে আর ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএডিসি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসির সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত লিখুন :