গাংনীতে কপি ক্ষেতে পাতা পচা রোগ, লোকসানের মুখে চাষিরা
এবার ফলন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন মেহেরপুরের গাংনীর কপি চাষিরা। গেল বছর গ্রীষ্মকালীণ বাঁধাকপি চাষে চাষিরা লাভবান হলেও চলতি মৌসুমে বাজারজাত করার সময় পাতা পচা রোগ দেখা দেয়। কপি বিক্রি করতে না পারায় চাষিদের মোটা অংকের টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে। চাষিদের অভিযোগ, কৃষি অফিসের পরামর্শ থেকে তারা ব িত। আর কৃষি অফিস বলছে, আবহাওয়া জনিত কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কৃষি অফিস চাষিদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছে।মেহেরপুরের গাংনীর অর্থকরী ফসলের মধ্যে অন্যতম বাঁধা কপি। সারা বছরে এ কপি আবাদ হয়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীণ কপি আবাদ চাষিদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় চাষিরা কপি চাষে বেশ আগ্রহী। গেল বছর চাষিরা লাভবান হওয়ায় অনেকেই এ বছর কপি চাষ করেছেন। উপজেলায় ৫০০ হেক্টর বাঁধা কপির চাষ করা হয়েছে। প্রথমে কপি ক্ষেত বেশ ভাল দেখা গেলেও বাজারজাত করার সময় দেখা দেয় বিপত্তি। হঠাৎ নানা ধরণের ছত্রাক ও পাতা পচা রোগ দেখা দেয়। এ রোগে কপির গায়ে বিভিন্ন দাগ ছাড়াও পচনের কারণে বাজারে বিক্রি হচ্ছে না। কোন ছত্রাক নাশক প্রয়োগ করেও কোন ফল পাচ্ছেন না চাষিরা। বিভিন্ন মাঠের অন্ততঃ ২০০ হেক্টর জমির কপি পাতা পচা রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
কপি ক্ষেতে রোগ বালাই দেখা দেয়ায় পরামর্শ নিতে চাষিরা বিভিন্ন জনের কাছে ছুটলেও সংশ্লিষ্ট এলাকার উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের দেখা পান না বলেও অভিযোগ চাষিদের। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন সার ও কীটনাশক ব্যবসায়িদের পরামর্শ নিচ্ছেন চাষিরা। তবে কোন ফলাফল পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন নওপাড়া গ্রামের চাষি রহিদুল ইসলাম।
সাহারবাটি গ্রামের কপি চাষি আলী হোসেন জানান, তিনি চলতি মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে কপি চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত জমি তৈরী থেকে শুরু করে ৫০ টাকা খরচ হয়। কপি বিক্রি করে একলাখ টাকা পাবেন বলে আশা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ সময়ে পাতা পচা রোগ দেখা দেয়ায় কপি বিক্রি করতে পারছেন না। এতে লোকসান গুণতে হবে বলে জানান তিনি।
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন জানান, আবহাওয়া অনুকুল না হওয়ায় গ্রীষ্মকালীণ বাঁধাকপি চাষ ব্যহত হচ্ছে। দিনে প্রচণ্ড গরম ও রাতে ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে কপি ক্ষেতে পচন দেখা দিয়েছে। চাষিদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এই কৃষি কর্মকর্তা।