গাংনীতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির ১১নেতাকর্মী বিরুদ্ধে মামলা,পৌর যুবদলের সভাপতি আটক
মেহেরপুরের গাংনীতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপি’র ১১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা। আজ মঙ্গলবার ছাত্রনেতা শাহিদুজ্জামান শিপু বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পৌর যুবদলের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর সাইদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, গাংনী পৌর এলাকা ০৩ নং ওয়ার্ডের মৎস্য খামারে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ও তিনটি ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় সাবেক ছাত্রনেতা শাহিদুজ্জামান শিপু বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরণ আইনে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে,১৫/২০ বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।যার মামলা নং-৩২,তারিখঃ২৯-১১-২২।
মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছে, গাংনী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মালেক হোসেন চপল, গাংনী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু, পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ডাকু,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাজমুল হক, পৌর যুবদলের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর সাইদুল ইসলাম, বানিয়াপুকুর গ্রামের কামরুল ইসলাম, চৌগাছা গ্রামের ছাত্রনেতা ইমন আহমেদ, মহিলা কলেজ পাড়ার সুমন ওরফে এ্যাডাম, যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান মনি ও থানা পাড়ার কাজল।
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আগামী ১০ই ডিসেম্বর মহাসমাবেশ ঘিরে নেতাকর্মীরা যেন মহাসমাবেশে যেতে না পারে তাই ক্ষমতাসিল দলের নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলা হামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে। তিনি অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
উল্লেখ্যঃগতকাল সোমবার(২৮-নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর এলাকার মৎস্য হ্যাচারী খামারের মধ্যে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। গাংনী পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে তিনটি ককটেল উদ্ধার করে। এরপর পরপর এই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গাংনী শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।