গাংনীতে একই দিনে স্কুলে নেই ৩ শিক্ষিকা
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামুন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই দিনে তিন শিক্ষিকা অনুপস্থিত থাকায় প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা শিক্ষা অধিদফতরের পরিদর্শক দল। রোববার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সমন্বয়ে একটি পরিদর্শক দল এ নিদের্শ দেয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে দীর্ঘদিন স্কুল ছুটি থাকার পর একসঙ্গে তিন শিক্ষিকার অনুপস্থিতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, তারা নৈমিত্তিক ছুটিতে (সিএল) আছেন।
জানা গেছে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভুপেশ চন্দ্র রায়, গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দিনসহ একটি পরিদর্শক দল বামুন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে তিন শিক্ষিকা লুবেরি আদিলা জুঁই, রেহেনা খাতুন ও নাসরিন আক্তারকে অনুপস্থিত পান।
এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেনকে তাদের অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নৈমিত্তিক ছুটির কথা বলে পাশ কাটিয়ে যান। একইসঙ্গে ৩ শিক্ষিকার নৈমিত্তিক ছুটি কী কারণে দেওয়া হয়েছে তা ৭ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দেন পরিদর্শক দলের প্রধান।
সহকারী শিক্ষিকা লুবেরি আদিলা জুঁইয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রেহেনা খাতুনকে ফোন দেওয়া হলে তার পরিবারের একজন ফোন ধরে বলেন, তিনি ঘুমাচ্ছেন। তবে শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার জানান, তিনি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ছুটি নিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন বলেন, লুবেরি আদিলার ছেলে অসুস্থ থাকায় তাকে ছুটি দিতে হয়েছে। নাসরিন আক্তারের বাড়িতে মেহমান এসেছে এবং রেহেনা অসুস্থ থাকায় ছুটি নিয়েছেন।
গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দিন বলেন, আমরা তিন শিক্ষিকার অনুপস্থিতর বিষয়টি নিয়ে রেজিস্ট্রার খাতায় লিখিত জবাব দিতে বলেছি। সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার ভুপেশ চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা সকাল সাড়ে ৯টার সময় বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখি ৩ শিক্ষিকা অনুপস্থিত। পরে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। তবে দীর্ঘছুটির পর একসঙ্গে ৩ শিক্ষিকার নৈমিত্তিক ছুটির বিষয়টি প্রধান শিক্ষক কিভাবে দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তিনি সাত দিনের মধ্যে লিখিত জানাবেন।