গাংনীতে ঈদের আনন্দ না করে করােনায় মারা যাওয়া মানুষকে দাফনে সময় পার করছে ছাত্রলীগ

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  03:31 PM, 22 July 2021

মেহেরপুরের গাংনীতে পবিত্র ঈদুল আযহার আনন্দ নিয়ে যখন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ব্যস্ত রয়েছে। আর এই মুহূর্তে করােনায় মারা যাওয়া মানুষকে দাফনে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেহেরপুরের ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

গত কাল বুধবার(২১জুলাই) দিবাগত রাতে মারা যাওয়া মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাদিয়াপাড়া গ্রামের এক নারীকে বৃহস্পতিবার সকালে দাফন কাজে ছাত্রলীগের মেহেরপুর জেলা কোভিড ১৯ স্বেচ্ছাসেবক ইউনিট অংশগ্রহণ করে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে ঈদের আনন্দ যেনাে ম্লান হয়েছে এ ইউনিটের সদস্যদের। মানুষ মানুষের জন্য এ বিষয়কে বুকে ধারণ করে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের কােভিট ১৯ ইউনিটের সদস্যরা অক্সিজেন সিলিন্ডার পিঠে বেঁধে নির্ঘুম রাত পার করছেন।

সেবা দেয়ার লক্ষে তারা কখনও করােনা আক্রান্ত রোগীর বাড়িতে, আবার কখনও হাসপাতালের বারাদ্দায় ব্যস্ততায় সময় পার করছেন। এ ইউনিটের সদস্যরা ঈদের দিন গাংনী উপজেলার শানঘাট গ্রামের আব্দুল মালেক (৬৭) ও আজান গ্রামের আনারুল ইসলাম (৪৫)-এর মরদেহ দাফন-কাফন করেন। স্বেচ্ছাসেবক ইউনিটের অন্যতম সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা জুবায়ের হোসেন উজ্জল বলেন,ঈদে আনন্দ করতে না পাললেও করােনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দাফন-কাফনের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে,এটাই বড় তৃপ্তি পাচ্ছি। কারণ করােনায় মারা যাওয়া মানুষগুলাে মানব সমাজেরই তাে একজন।

স্বেচ্ছাসেবক ইউনিটের আহবায়ক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনতাছির জামান মৃদুল বলেন,করােনায় মারা যাওয়া মরদেহ ছাত্রলীগের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্সে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের লোকজন কেউ দাফন-কাফনে এগিয়ে আসেনি। গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল জাহান শিশির, গাংনী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিরুল ইসলাম মোহন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের হোসেন উজ্জল, জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী, ছাত্রলীগ নেতা ফাহিমকে নিয়ে আমরা দাফন-কাফন সম্পন্ন করে আসছি। এ ধরণের কাজ অব্যাহত থাকবে।

আপনার মতামত লিখুন :