গাংনীতে অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে সরকারী অনুদানের ঘর
একটি মাথা গোঁজার ঠাই অনেকের কাছে স্বপ্ন। সরকার দরিদ্র মানুষের ভাল ভাবে বেঁচে থাকার জন্য দিয়েছেন ঘর। একটি ঘরের স্বপ্ন অনেকের কাছে দুঃস্বপ্ন। আবার অনেকেই বিনামূল্যে সরকারী ঘর পেয়েও থাকছে না সেই ঘরে। অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে লাখ টাকার ঘর।
এমনই ঘটনা ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে। ২০২১ সালে জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পে সরকারী অনুদানের ঘর দেওয়া হয় ওই গ্রামের মৃত সামাদ আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন ও ছহির মালিথার ছেলে সেলিম রেজাকে।
তারা কেউ থাকে না ওই ঘরে। বিল্লাল থাকে তার পূর্বের পাকা বাড়িতে এবং সেলিম থাকে তার ছাদের বাড়িতে। পরিত্যাক্ত ওই ঘরগুলোতে রাখা হয় খড়ি।
এলাকাবাসী বলছে, সরকারী অনুদানের ঘর সুষ্ঠ ভাবে বন্টন হয়নি। যাদের আছে তাদেরকেই দেওয়া হয়েছে ঘর। আর যাদের একটি ঘর খুব প্রয়োজন তাদেরকেই দেওয়া হয়নি। ঘর বরাদ্দে স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে।
বিল্লালের স্ত্রী জানান, পায়খানার ট্যাংকি ও টিউবওয়েল না থাকায় উঠা হয়নি ঘরে।
সরজমিনে গেলে সেলিম রেজার পরিবারের কাউকেই পাওয়া যায়নি সেখানে।
বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবাইদুর রহমান কমল জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। এই ঘরগুলো তার সময়ে হয়নি। তবে যারা এই ঘর বন্টনে দায়িত্বে ছিল তাদের অবশ্যই যাচাই বাছাই করে ঘর দেওয়া উচিৎ ছিল।
বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী খানম।