গাংনীতে অপহরন ও চাঁদাবাজি মামলার ৩ আসামীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
(ফলোআপ)মেহেরপুরের গাংনীতে অপহরন ও চাঁদাবাজি মামলার ৩ আসামীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
আজ রবিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নুরুল ইসলাম নুর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত আসামীদের ২ দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
আসামীরা হলেন, গাংনী বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সরকারী ডিগ্রী কলেজ পাড়ার বিনয়,বিকাশ ব্যবসায়ী থানাপাড়ার সাফায়েত ও সদর উপজেলার ষোলমারী গ্রামের খালেদ।
একটি সূত্র জানান, নরসুন্দর কাজ করে বিনয়ের সংসার চললেও সম্প্রতি আন্তজার্তিক স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িয়ে পড়া ও বিপুল পরিমান টাকা লেনদেনের ঘটনায় এলাকায় নানা আলোচনা সমালোচনার চলছে। ভারতের জনৈক্য হাফিজের সাথে স্বর্ণ পাচারের সাথে জড়িয়ে পড়ে বিনয়।
স্বর্ণ পাচারের টাকা লেনদেন করা হয় বিকাশ ব্যবসায়ী সাফায়েতের দোকানে। সাফায়েত স্বর্ণ, মাদক পাচার ও অপহরনের সাথে জড়িত না থাকলেও শুধুমাত্র বিকাশে টাকা লেনদেনের কারনে তার নামে মামলা করা হয়েছে বলে দাবি তার পরিবারের।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নুরুল ইসলাম নুর জানান,মাদক,স্বর্ণ পাচার,অপহরন ও হুন্ডির টাকা লেনদেন সহ সার্বিক বিষয় মাথায় রেখে মামলার তদন্ত করা হচ্ছে।
তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের উজ্জলকে অপহরন ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকার অপরাধে গাংনী বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সরকারী ডিগ্রী কলেজ পাড়ার বিনয়,বিকাশ ব্যবসায়ী থানাপাড়ার সাফায়েত ও সদর উপজেলার ষোলমারী গ্রামের খালেদের বিরুদ্ধে উজ্জলের পিতা মাফিজুর রহমান বাদী হয়ে গাংনী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ১৩।
উল্লেখ্য : গত বুধবার সন্ধ্যায় তেঁতুলবাড়িয়া গ্রাম থেকে মটরসাইকেল যোগে উজ্জল হোসেনকে অপহরন করা হয়। অপহরণের ৩০ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যে রাতে উপজেলার তেরাইল এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
অপহরণের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহ ও চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাংনী বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিনয়,বিকাশ ব্যবসায়ী থানাপাড়ার সাফায়েত ও মেহেরপুর সদর উপজেলার ষোলমারী গ্রামের খালেদকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় ০১৭০৩-২৪৫১২৬ নং মোবাইল থেকে জনৈক্য হাফিজ পরিচয় দিয়ে মাফিজুলের প্রতিবেশি নাজিম উদ্দীনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে (শেষ দুটি নং ৪৯) আমার সাথে কথা বলে। হাফিজ ভারতীয় ভুখন্ডে রয়েছে দাবি করে জানায় তার ছেলে উজ্জলকে অপহরন করেছে তারা এবং অপহৃত উজ্জল তাদের কাছে জিম্মি রয়েছে। ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে তা না হলে হত্যার হুমকি দেন।
পরে মুক্তিপণ হিসেবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিতে চাইলে বিকাশ নম্বর দেন। ( বিকাশের শেষ তিন ৪২০ অক্ষর) পরে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরেই আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।