গাংনীতে অপহরন ও চাঁদাবাজির মামলায় ৩ আসামীর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন
মেহেরপুরের গাংনীতে উজ্জলকে অপহরন ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ৩জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার উজ্জলের পিতা মাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
গাংনী থানার ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলাম জানান,গ্রেফতারকৃত গাংনী বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিনয়,বিকাশ ব্যবসায়ী থানাপাড়ার সাফায়েত ও সদর উপজেলার ষোলমারী গ্রামের খালেদকে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ বিচারক রবিবার রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য করে আসামীদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশ ও মামলার বাদী জানিয়েছে, স্বর্ন ব্যবসায়ী বিনয়ের সাথে ভারতে হাফিজের টাকালেনদেন রয়েছে। সে লেনদেন ফেন্সিডিল ও স্বর্ণের ব্যবসা সংক্রান্ত হতে পারে। স্বর্ণ ও ফেন্সিডিল বিক্রির বিপুল পরিমান টাকা লেনদেন করে সাফায়েতের বিকাশ নম্বরে। সেই টাকা সাফায়েতের কাছ থেকে নিয়ে যায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিনয়। তবে মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে তদন্ত শেষে বিস্তারিত পরিস্কার হওয়া যাবে। এদিকে উজ্জল হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার পর স্বজনের জিম্মায় মুক্তি পেয়েছে সে।
উল্লেখ্য : গত বুধবার সন্ধ্যায় তেঁতুলবাড়িয়া গ্রাম থেকে মটরসাইকেল যোগে উজ্জল হোসেনকে অপহরন করা হয়। অপহরণের ৩০ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যে রাতে উপজেলার তেরাইল এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহ ও চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাংনী বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিনয়,বিকাশ ব্যবসায়ী থানাপাড়ার সাফায়েত ও মেহেরপুর সদর উপজেলার ষোলমারী গ্রামের খালেদকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় ০১৭০৩-২৪৫১২৬ নং মোবাইল থেকে জনৈক্য হাফিজ পরিচয় দিয়ে মাফিজুলের প্রতিবেশি নাজিম উদ্দীনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে (শেষ দুটি নং ৪৯) আমার সাথে কথা বলে। হাফিজ ভারতীয় ভুখন্ডে রয়েছে দাবি করে জানায় তার ছেলে উজ্জলকে অপহরন করেছে তারা এবং অপহৃত উজ্জল তাদের কাছে জিম্মি রয়েছে। ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে তা না হলে হত্যার হুমকি দেন।
পরে মুক্তিপণ হিসেবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিতে চাইলে বিকাশ নম্বর দেন। ( বিকাশের শেষ তিন ৪২০ অক্ষর) পরে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী জানান, ঘটনাটি মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত ঘটনা বলে প্রাথমিক অবস্থায় ধারনা করা হচ্ছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছেনা।