গাংনীতে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়নের এলাঙ্গী গ্রামে শিশু অপহরণের অভিযােগে মকবুল হােসেন (৪০) নামের একজনকে গণধােলাই দেয়া হয়েছে। পরে তাকে পুলিশের কাছে সােপর্দ করা হয়।
আটক মকবুল গাংনী উপজেলা শহরের মাঠপাড়ার সুরমান আলীর ছেলে। সে পেশায় একজন ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী বলে তার পরিবার জানায়। বৃহষ্পতিবার দুপুরের দিকে গাংনীর রাইপুর বাজার থেকে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানান,এলাঙ্গী গ্রামের ইয়াকুব আলীর শিশু কন্যা নুসরাত জাহান (৯) বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বাড়ির পাশে রাস্তায় খেলা করছিল। এসময় মকবুল নামের এক ব্যক্তি নুসরাতকে মিষ্টি খাওয়ানাের প্রলােভন দেয়। এবং ৭০টি টাকা দেয়। তারপরও নুসরাত মােটরসাইকেলে উঠতে না চাইলে,মকবুল ভয়ভীতি দেখিয়ে মােটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে গাংনী উপজেলা শহরের দিকে রওনা হয়।
এদিকে নুসরাতকে তার পরিবারের লােকজন খুঁজে না পেয়ে এলাকায় খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে রাইপুর বাজারে নুসরাত ও মকবুলকে দেখতে পায়। এসময় মকবুলকে আটক করে স্থানীয় লােকজন গণধােলাই দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় এলাঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এসময় তাকে পুলিশের কাছে সােপর্দ করা হয়।
মকবুল হােসেনের পরিবার জানায়,মকবুল একজন ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী। সে এলাঙ্গী এলাকায় কাজ করতে গিয়ে শিশুটিকে আদর করে মােটরসাইকেলে নিয়ে মিষ্টি খাওয়ানাের জন্য রাইপুর বাজারে নিয়েছিল। স্থানীয় লােকজন ভূল বুঝে তাকে অপহরণকারী ভেবে গণধােলাই দিয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন জানান,শিশু নুসরাতকে এলাঙ্গী গ্রামে মিষ্টি কিনে না দিয়ে প্রলােভন দেখিয়ে রাইপুর বাজারে কেন নিয়ে যাচ্ছিল। সে প্রকৃতপক্ষে নুসরাতকে অপহরণের চেষ্টা করছিল।
গাংনী থানা সূত্র জানায়, এলাঙ্গী গ্রামের ইয়াকুব আলীর তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশু কন্যা নুসরাতকে মিষ্টি ও পাউরুটির দেয়ার নাম করে নিজ মোটরসাইকেলে তুলে নেয় মকবুল হোসেন। এলাঙ্গী থেকে তুলে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে রাইপুর বাজারে নিয়ে আসে। পরিবারের লোকজন নুসরাতকে বাড়ির পাশে না পেয়ে খুঁজতে বের হয়। এক পর্যায়ে মকবুল হোসেন ও নুসরাতকে রাইপুর বাজারে দেখতে পায়। এসময় স্থানীয় লােকজন মকবুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়৷ বিষয়টি তদন্ত চলছে।