গাংনীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে অমর একুশে পিঠা উৎসব
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে অমর একুশে পিঠা উৎসব। বুধবার বিকেলে বামন্দী সবজি হাটে মেহেরপুর জেলা হেযবুত তওহীদ এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন।
মোট ১৮ টি স্টলে দেড় শতাধিক রকমের পিঠার প্রদর্শণী করা হয়। এসময় শত শত লোকজন পিঠা উৎসবে এসে বিভিন্ন স্টলে ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্নমত পিঠার স্বাদ নিয়েছেন। আবার অনেকেই তাদের বাড়ির অন্যান্ন সদস্যদের জন্য পিঠা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।
পিঠা উৎসবে মেহেরপুর জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হেযবুত তওহীদের নারী বিভাগের দায়িত্বশীল রুফাইদাহ পন্নী, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলার দায়িত্বশীল সাহারুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, সহ-সভাপতি অষোক কুমার বিশ্বাস, গাংনী থানা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমানসহ কৃষকলীগ নেতা পলাশ, রিন্টু, রাজিব, বামন্দী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল খায়ের মোল্লা, বামন্দী বাজার কমিটির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বাবুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা বিভাগের নারী বিভাগের দায়িত্বশীল আফরোজা খাতুন ও অন্যান্ন নারী নেতৃরা অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন, পিঠা পুলি গ্রাম বাংলার পুরানো ঐতিহ্য। এক সময় গ্রামের মানুষ বিভিন্ন ধরনের পিঠা পুলির আয়োজন করত। এক বাড়ি পিঠা তৈরী হলে প্রতিবেশীরা সবাই খেত কিন্তু আমাদের সেই সংস্কৃতি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করতে এবং গ্রাম বাংলার পুরানো ঐতিহ্য ধরে রাখতে এমন আয়োজন অবশ্যই প্রসংশার দাবীদার।