গাংনীতে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরীর অভিযোগ
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডির) অর্থায়নে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ঝোরাঘাট থেকে কল্যাণপুর মুখি ৫:৫ কিলোমিটার রাস্তার তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে। এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। এর সত্যতা পেয়েছে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী।
জানা গেছে, খুলনা বিভাগীয় প্রকল্পের আওতায় দুই কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ঝোরাঘাট থেকে কল্যাণপুর মুখি ৫:৫ কিলোমিটার রাস্তার কাজ পাই রুমানা এন্টারপ্রাইজের নামের একে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই কাজে দেখভাল করছে লেলিন কনস্ট্রাকশন এর স্বত্বাধিকারী ফারুক হোসেন।
স্থানীয় রবিউল ইসলাম জানান, ১নং ইট দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও বাস্তবে কাজ হচ্ছে ০২ ও ০৩ নং ইট দিয়ে। প্রতিবাদ করতে গেলে দেয়া হচ্ছে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি।
কল্যাণপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন ভাটা থেকে নিম্নমানের ইট কিনে এনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকেরা এই রাস্তায় ব্যবহার করছে। এমন ইট ব্যবহার করলে রাস্তা বেশি দিন টেকসই হবে না। অনেক দিন পর আমরা রাস্তা পেয়েছি যদি রাস্তাগুলো দ্রুত ভেঙে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আমরা কিভাবে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করব। সরকারের কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এলাকাবাসীরা।তিনি আরো বলেন, এলাকাবাসীরা সাংবাদিকদের তথ্য দিলে এলাকাবাসীর উপর চড়াও হন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে ঠিকাদার ফারুক হোসেনের ভাইয়ের সোহেল রানার সাথে আমাদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা লেলিন কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের মুঠোফোনে উদ্দেশ্যে বলেন, নিম্নমানের সামগ্রিক রাস্তা তৈরি হচ্ছে এগুলো আপনি আমাকে জানাতে পারতেন, আমাকে না জানিয়ে কেন উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জানিয়েছেন। তবে দাবি করেন এখানে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কোন রাস্তা হচ্ছে না। ঠিকাদারের দায়িত্বে শামীম আহমেদ সাংবাদিককে ফোন দিয়ে মুঠোফোনে বলেন, আপনারা রাস্তায় কেন গিয়েছেন আমাদের সাথে সমন্বয় করে নিতে পারতেন। সকলেই আমাদের সাথে সমন্বয় করে চলে আপনার চলতে সমস্যা কোথায় বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন জানান, ঘটনা শোনার পর ওই রাস্তা পরিদর্শন করেছি। নিম্নমানে ইট দিয়ে রাস্তা তৈরি হচ্ছে এমন সত্যতা পাওয়া গেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে ইট ও খোয়া তুলে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম শাহা জানান, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি হয়েছে শুনেছি। কয়েক দিনের মধ্যে আমি রাস্তাটি পরিদর্শনে যাব। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি হলে ঠিকাদার ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।