কোট মসজিদ মার্কেটের দোকানিদের ক্ষতি পূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
মেহেরপুর জেলা প্রসনের পক্ষে কোর্ট মসজিদ মার্কেট ভাঙ্গার ঘোষনার প্রতিবাদ ও ক্ষতিপুরনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলণ করেছে। আজ মঙ্গলবার বিকালে কোর্ট মসজিদের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
দোকানিরা বলেন আজ মঙ্গলবার সকালের দিকে মেহেরপুর ভুমি অফিসা থেকে কোর্ট মসজিদের মার্কেট আগামিকাল বৃহস্পতিবার ভেঙ্গে ফেলা হবে জানিয়ে মাইকিং করা হয়েছে। মাইক বের হবার পর কোর্ট মসজিদ মার্কেটে অবস্থিত ২৫ টা দোকানের মালিক কর্মচারি ও হোটেল বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ মিলে বিকাল ৫টার দিকে বিক্ষোব করে।
দোকানিরা আরো জানান ২০০৬ সালে তৎকালিন জেলাপ্রসাশক তালুকদার সামসুর রহমান ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করার পর দোকান বরদ্দ দেবার ঘোষনা দিলে আমরা প্রতি দোকান পতি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা করে দিয়ে দোকানগুলি মেহেরপুর জেলা প্রসাশকের কাছ থেকে বরাদ্দ নিয়েছি । পরবর্তিতে ২০১০ সালে জেলা প্রসাশক বেনজামিন হেমব্রন মার্কেটের শুভ উদ্ভোদন করেন ।তখন থেকে আমরা ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছি। এরপর ২০১৩ সালে জেলা প্রসাশক মোঃ দেলোয়ার হোসেন মার্কেটের পূর্ণ নির্মান করেন ।বরাদ্দ নেবার পর থেকে আমরা মসজিদ কমিটির রশিদে ভাড়া দিয়ে আসছি।বর্তমান জেলাপ্রসাশকের দেওয়া ব্যংক একাউন্ট নাম্বারে নিয়মিত ভাড়া দিচ্ছি। ভাড়ার টাকা জমা দেওয়ার ব্যাংক রশিদের ফটোকপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ’মি অফিসে জমা দিয়। মডেল মসজিদ নির্মানের পর অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক ভুমি আমাদের অবৈধ ঘোষনা করে উচ্ছেদের নোটিশ দেয়। নোটিশ পেয়ে আমরা আদালতের আশ্রয় নিয়েছি॥ আদালত শংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে জবাব চাইলে সময় প্রার্থনা করে। এর পর আজ বিকালে হঠাৎ করে মার্কেট আগামিকাল ভেঙ্গে ফেলা হবে বলে মাইকিং করা হয় । বর্তমানে আমরা উৎকন্ঠার মধ্যে আছি । এখানে আমাদের প্রায় ব্যাবসায়ির ১০ লক্ষ টাকার উপর বিনিয়োগ করা আছে, আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্টান থেকে ঋন নেওয়া আছে, আমরাও বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে অনেক টাকা পাবো । এভাবে আমাদের উচ্ছেদ করলে আমরা আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে নিঃস¦ হয়ে পথে বসবো। তায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জনপ্রসাশন প্রতিমন্ত্রী র কাছে আমাদের আবেদন বিষয়টি সুষ্ট তদন্ত পুর্বক আমাদের পূর্ণবাসনের দাবী জানায়।