কুড়িগ্রামে প্রাচিন গো-মূর্তি উদ্ধার বিষয়ে-পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশি ইউনিয়নের মধ্য সুখাতি বামনটারী গ্রামে পরিত্যক্ত প্রাচিন মন্দির থেকে একটি পাথরের গো-মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকুত গো-মূর্তিটি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা।
রবিবার সকালে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার কনফারেন্স কক্ষে মতবিনিময় সভায় উপস্তিত ছিলেন, এডিশনাল এসপি রুহুল আমিন, এএসপি উৎপল কুমার রায়, এএসপি কল্লোল দত্ত, প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট আহসান হাবীব নীলু, সিনিয়র সাংবাদিক সফি খান, মমিনুল ইসলাম মঞ্জু, শ্যামল ভৌমিক, হুমায়ুন কবির সূর্যসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জেলা প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহন করেন।
পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, গত ৯ জুলাই স্থানীয় কয়েকজন যুবক দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবস্থিত ধ্বংসস্তুপ থেকে ইট-পাথর সড়াতে গিয়ে গো-মূর্তিতে পেয়ে তা নিজেদের মধ্যে রেখে দেয়। পরে পুলিশ এসে সেটি নিজেদের হেফাজতে নেয়। ২০ কেজি ওজনের গো-মূর্তিটি কষ্টি পাথরের বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এটি ১৩ইঞ্চি লম্বা ও সাড়ে ৫ইঞ্চি চওড়া। এটি কষ্টি পাথরের হলে এর এন্টিক মূল্য কয়েক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গো-মূর্তিটি পরবর্তীতে প্রত্নতাত্মিক বিভাগের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বিধিমোতাবেকভাবে হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়।
জনশ্রুতি রয়েছে কয়েকশ’ বছর পূর্বে গোসাইয়ের ভিটায় গোসাই রাজা নামে এক রাজা বসবাস করতেন। তারই নামে গ্রামের নামকরণ করা হয় গোসাইয়ের ভিটা। এইট ওই পুরাতন রাজবাড়ীর মন্দিরের মূর্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।