কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু !!
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করিয়ে ওয়ার্ডে নেয়ার পর রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হওয়ায় ডাক্তারকে ডেকে ডেকে হয়রান হন রোগীর স্বজনরা। নার্স ইসিজি রিপোর্ট দেখে রোগীর কিছু হয়নি জানিয়ে ৭/৮ ট্যাবলেট খাইতে দেন। ওষুধ খাওয়ানোর পর পরই রোগী ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢ্লে পড়েন। ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মৃত্যু ব্যক্তির ছেলে ও স্বজনরা।
কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কেষ্টপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ হাজীর ছেলে মজিবুল ইসলাম (৫০) আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে বুকে ব্যথা নিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসার পর বেশ ডাকাডাকির পর একজন কর্তব্যরত ডাক্তার (এফরোন ছাড়া) তাকে দেখে ২নং ওর্য়াডে (মেডিসিন বিভাগ) ভর্তি করতে বলেন। রোগীকে ওয়ার্ডে নিয়ে আগে তার ইসিজি করানোর পরামর্শ দেন।
মৃত মজিবুলের ছেলে ও স্বজনরা জানান, ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পর রোগী বুকের ব্যথায় আরো অস্থির হয়ে উঠে। কর্তব্যরত নার্সও তাকে ইসিজি করাতে বলে এবং দ্রুত ইসিজি করানো হয় । কিন্তু ইসিজি দেখানোর জন্য ডাক্তারকে খুজতে থাকে রোগীর লোকজন। তারা কর্তব্যরত ডাকারের রুমে গিয়ে ৩/৪ বার ডাক্তারকে রোগীর বিষয়ে জানানোর পরও ডাকার কোন কর্ণপাত করিনি। এভাবেই কেটে যায় দেড় ঘন্টা। অবশেষে ওয়ার্ডের নার্স ওই ইসিজি রিপোর্ট দেখেন এবং জানান ইসিজিতে কোন সমস্যা নেই, জানিয়ে ৭/৮ টা ট্যাবলেট দিয়ে রোগীকে খাওয়াতে বলেন। ওষুধ খাওয়ানোর পর রোগী আরো অস্থির হয়ে উঠে এবং ছটফট করতে করেতে নিথর হয়ে যায় । এ সময় দুপুর ১ টার দিকে কর্তব্যরত নার্স এসে রোগীকে অক্সিজেন দিতে বলেন এবং অক্সিজেন দেয়া মাত্রই জানান রোগী মারা গেছে।
মৃত মজিবুলের বড় ছেলে জানান, ভর্তির পর ডাক্তারকে ৩/৪ বার ডাকলেও ডাক্তার আসেনি এবং ডাক্তারের অবহেলায় তার বাবা মারা গেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে কান্নারত অবস্থায় মরদেহ নিয়ে হাসপাতাল ছাড়েন।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জেন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল তাদের দায়িত্বের মধ্যে নেই। সেখানে কোন সমস্যা হলে হাসপাতালের আএমও বা ডিডি’র সাথে কথা বলতে হবে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আসাবিক মেডিকাল অফিসার (আরএমও) ডাঃ তাপস কুমার সরকারের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ( ডিডি) ডাঃ নুরুন্নাহার বেগমের মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।