কুষ্টিয়ায় শতকোটি টাকার জমি দখলের চেষ্টা : প্রতারক চক্রের চার সদস্য আটক
কুষ্টিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করে শত কোটি টাকার জমি দখলের অভিযোগে প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদেরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
জানা যায়, কুষ্টিয়া শহরের এম এম ওয়াদুদের পৈত্রিক সম্পত্তি একটি জালিয়াতি চক্র ভুয়া এনআইডি কার্ড তৈরি করে মজমপুর মৌজার ২৫৭৫, ২৫৭৬, ২৫৮০, ২৫৮১ দাগের মধ্যে ০.২২ একর জমি বিক্রয় করে। যার আনুমানিক মূল্য ২৫ কোটি টাকা হলেও মিরপুর উপজেলার কাঠদাহ গ্রামের মহিবুল ইসলামের কাছে তা বিক্রি করে প্রতারক চক্র ৭৫ লাখ টাকায়। এছাড়াও কুষ্টিয়া মডেল থানাধীন মজমপুর, চৌড়হাস, বাহাদুরখালী মৌজার জমি জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে রাজনৈতিক ও অবৈধ ক্ষমতা দেখিয়ে আত্মসাতের চেষ্টা করে এই প্রতারক চক্রটি।
এ ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে, হইচই পড়ে যায় শহরে। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। প্রতারক চক্রটিকে ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ। আটক করে প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে। আটককৃত সদস্যরা হলেন মো. ওয়াদুল মিন্টু খন্দকার (৬০), মো. মিলন হোসেন (৩৮), ছানোয়ারা খাতুন (৫০), জাহানারা খাতুন (৪৫)। এছাড়াও এই চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া শহরের সচেতন নাগরিকরা বলছে, রাজনৈতিক ছত্র-ছাঁয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির মাধ্যমে শতকোটি টাকার জমি দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে এই প্রতারক চক্রের মূলহোতাদের নাম।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত (পিপিএম)বার বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা সবাই প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত। এছাড়াও প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত বাকিদেরও আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।