কুষ্টিয়ায় পানিবন্দি ৩০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা অনিশ্চিত
দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্তে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বেশ খুশি হলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বন্যাকবলিত রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
৩৭টি গ্রাম পানিবন্দি। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি টলমল করছে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানের চারপাশে পানি জমে আছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর বন্যাকবলিত রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দৌলতপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২১৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১০২টি এবং মাদ্রাসা রয়েছে ১৫টি। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হওয়ায় দৌলতপুরের এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি সবধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, ধোয়া মুছা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনা ও আশপাশের ঝোপ জঙ্গল কেটে তা পরিচ্ছন্ন করেছে।
চিলমারীর জোতাশাহী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়া এক শিক্ষার্থীর বাবা আনোয়ার আলী বলেন, তার বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব প্রায় ১ কিলোমিটার। এখন চারিদিকে পানি। নৌকা ছাড়া কোনো বাহন নেই। এ অবস্তায় মেয়ের স্কুলে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। অবস্থা আরও ভয়াবহ হলে পাঠদান কার্যক্রম সম্ভব নাও হতে পারে।
চিলমারীর জোতাশাহী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বলেন, বন্যার পানি কমে গেলেও রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি থেকে পানি না নামা পর্যন্ত ক্লাসে শিক্ষার্থী উপস্থিত হবে না।
বন্যাকবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সরদার মো. আবু সালেক বলেন, বন্যাকবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চাইলেও বন্যার পানি পাড়ি দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত তাদের জন্য ঝুকিপূর্ণ ও কষ্টসাধ্য হবে। তবে এ বিষয়ে ৯ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। নিয়মিত বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করছি। এছাড়াও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে খোঁজখবর রাখছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আলোচনা করে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।