কুষ্টিয়ায় পদ্মায় নিখোঁজ দুই কলেজছাত্রের মরদেহ ছয় ঘন্টা পর উদ্ধার


(ফলোআপ)কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে ডুবে ইউসুফ আলী (১৯) ও সামিরুল ইসলাম সম্রাট (১৮) নামে কলেজ দুই ছাত্র নিখোঁজ হওয়ার ছয় ঘন্টা পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরির দল।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের আবেদের ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে পড়ে যাওয়া ফুটবল তুলতে গিয়ে তারা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ হওয়ার ছয় ঘন্টা পর আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে খুলনার ডুবুরির দল। নিহতরা ফিলিপনগর মরিচা (পিএম) ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ ও একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল এবং ফিলিপনগর কবিরাজপাড়া গ্রামের বাবুল কবিরাজ ও কুমির উদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউসুফ আলী ও সামিরুল ইসলাম সম্রাটসহ বেশ কয়েকজন বন্ধু পদ্মার চরে ফুটবল খেলছিল। এসময় ফুটবল পদ্মা নদীতে পড়লে সামিরুল ও সম্রাট নদীতে নেমে ফুটবল তুলতে গিয়ে তারা পদ্মার প্রবল স্রোতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা নৌকা নিয়ে তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে ভেড়ামারা ফয়ার সার্ভিস দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজ ছাত্রদের উদ্ধারে পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে সন্ধান না পেলে বিকেলে খুলনা থেকে ডুবুরি দল এসে পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে একইস্থান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও নিখোঁজ ছাত্রদের প্রতিবেশী ফজলুল হক কবিরাজ জানান, পদ্মা নদীতে ডুবে ইউসুফ ও সামিরুল নামে দু’জন কলেজ ছাত্র নিখোঁজ হওয়ার ছয় ঘন্টা পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে খুলনার ডুবুরির দল। মর্মান্তিক এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, পদ্মা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া দুই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতদের সুরতহাল শেষে নিজ নিজ পরিবারে নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।