কুষ্টিয়ায় ধর্ষিতা মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাবা লাঞ্চিত
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষিতা মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাবা লাঞ্চনার শিকার হয়েছে। গতকাল হাসপাতালের এক্সরে বিভাগের এক কর্মচারীর দ্বারা সে লাঞ্চিত হয়।
জানাযায়, কুষ্টিয়ার বাড়াদি মোল্লা পাড়ার মুরাদের ছেলে ইমন (১৯) এর বিরুদ্ধে তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়ার ১৫ বছরের মেয়েকে বিয়ের প্রভোলন দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ধর্ষন করে। এ বিষয়ে ধর্ষিতার কুষ্টিয়া মডেল থানায় গত ০৮-১০-২০২০ ইং তারিখে মামলা দায়ের করে।
পুলিশ র্ধষক ইমনকে আটকও করেছে। ধর্ষিতা যুবতি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালের ৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল সকালে ধর্ষনের শিকার যুবতীর কিছু টেস্ট করাতে বলেন ডাক্তার। ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা মেয়ের টেষ্ট করাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের এক্সরে বিভাগে গেলে সেখানে এক কর্মচারী লাঞ্চিতের শিকার হন।
এ বিষয়ে ধর্ষিতার বাবা বলেন, আমি ও মহিলা পুলিশ আমার মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালের নিচতলায় এক্সরে করাতে নিয়ে য়ায়। কিছুক্ষন বসে থাকার পর এক্সরে রুমের এক কর্মচারী আমাকে সই করার জন্য রুমের ভিতরে ডেকে নিয়ে যায়।
আমি ভিতরে গেলে আমার কাছে ৩০০ টাকা দাবী করে । আমার কাছে টাকা না থাকায় আমি ১০০টাকা নেওয়ার কথা বলি। এ কথা শোনার সাথে সাথে ঐ কর্মচারী আমাকে ঘাড়ে ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের করে দেয় এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার জানায়, ঘটনাটি আমি শুনেছি, বাস্তবে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে নাই। অনেক লোকজন থাকায় ভিড়ের মধ্যে হয়তো ধাক্কা লাগতে পারে। কিন্তু টাকা চাওয়া বা গলা ধাক্কা দেওয়ার ঘটনার বিষয়টি সঠিক নয়।