কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগ নেতা ও নেত্রীর পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপা, আইজিপিসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যাতে আমি স্বাভাবিক ভাবে জীবন-যাপন। করতে পারি।
এদিকে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ লিখিত বক্তব্যে বলেন, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে একটি শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে এই জেলায়। যে কারণে সংগঠনের মধ্যে ঘাপটে মেরে থাকা জনৈক একজন নারীকে পুঁজি করে তাকে দিয়ে সংগঠনের পদধারী নেতৃবৃন্দকে নানাভাবে হেনস্থা করার ষড়যন্ত্র করছে। আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন যখন ছাত্রদলের ক্যাডাররা আগ্নেয়াস্ত্রসহ পুলিশের হাতে একের পর এক আটক হচ্ছে ঠিক তখনই ছাত্রলীগকে দুর্বল করার লক্ষ্যে চক্রটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। জেলা ছাত্রলীগের পদধারী ঐ নারী যদি তার কোন অভিযোগ থাকে তা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলীয় ফেরামে উত্থাপন না করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে যাওয়া এটি দুরভিসন্ধীমূলক আচরণ ছাড়া আর কিছু নয়। সেই নারী নেত্রী
জাতির শোকের মাস আগষ্টে নিজের জন্মদিন কেক কেটে পালন করার কারণে আগামী সভায় আমরা ওই নারী নেত্রীকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি জেনেই সে পরিবেশ ঘোলা করার জন্য এ রকম মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এ নেতা আরো বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুষ্টিয়া জেলা শাখার কমিটি পূর্ণাজ্ঞ করার কাজ যখন করছিলাম তখনি যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে সেই নারী নেত্রীর বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ থেকে বিস্তর অভিযোগ পেয়েছিলাম। বিয়ে করে মামলা দিয়ে জোর করে অর্থ আদায়, অনৈতিক কাজের সাথে সম্পৃক্ততা। যার প্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত ১৫১ সদস্য বিশিষ্ঠ জেলা কমিটিতে তার নাম দেয়নি। এতোগুলো সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের সাথে সম্পৃক্ততার কথা জানতে পেরে আমরা কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক তাকে ছাত্রলীগের রাজনীতি না করে অন্য কোন সংগঠন করার জন্য জানিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, একজন নারী নেত্রীর লিখিত অভিযোগ থেকে মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়া সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম তদন্ত করছে। তদন্তের মাধ্যমেই আইনগত ব্যাবস্থাগ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের এক নারী নেত্রীকে কুপ্রস্তাব ও শালীনতাহানির অভিযোগ এনে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী নেত্রী। এরপর থেকেই এ বিষয় নিয়ে কুষ্টিয়া জুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।