কুষ্টিয়ায় চাঁদা না পাওয়ায় কাউন্সিলর কর্তৃক রিপনকে ছুরিকাঘাত, আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় অভিযোগ
কুষ্টিয়া চৌড়হাস সিএনজি স্ট্যান্ডে গিয়ে চাঁদা চাওয়ার পর না দেওয়ায় রিপন নামের এক চালককে ধরে এনে কাউন্সিলের অফিসে মারধর ও দিনে ছুরিকাঘাত করা ও গুলি করে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুর বারোটার সময় শহরের চৌড়হাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত রিপনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় রিপন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
রিপন জানান, শহরের চৌড়হাস মোড়ে একটি সিএনজি স্ট্যান্ড রয়েছে। এখান থেকে কুমারখালী ও খোকসা উপজেলায় যাত্রী পরিবহন করা হয়। প্রতিদিন এই স্যান্ড থেকে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা নেন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবু। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাত ৯ টার সময় চৌড়হাস ফুলতলায় কাউন্সিলর বাবুর অফিসে গিয়ে ১০০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা প্রদান করলে ও তার ভাই আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তার অফিসের মধ্যে আমাকে মারধর করে এবং সেই সাথে আমার গলায় ডেগার ও আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে বলে তোকে মেরে ফেললে আমার কিছুই হবে না। প্রতিদিন এক হাজার টাকা করে আমাকে প্রদান করবি নইলে তুই জানে বাচতে পারবি না। ওই সময় আমি ওখান থেকে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসি।
দীপন আরো জানায়, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবু, মীর জাকির ইসলাম, বিল্টু, রবিনসহ ৭টি মোটরসাইকেল যোগে ১০ থেকে ১২জন আছে আমাকে বাটাম দিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে এক পর্যায়ে কমিশনার তার নিজের মাজা থেকে চুরি বের করে আমাকে দুইটা স্টেপ করে একটা বুকের উপরে আরেকটি পেটে। স্টেপ দুটি যদি স্লিপ না করত তাহলে আমি ওখানেই হয়তো মরে যেতাম। ওই সময়েই আমাকে পুনরায় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। সেই সাথে পথচারীরা আমাকে ঠেকাতে আসলেও তাদেরকেও মারধর করে।
এদিকে বিষয়টি জানতে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মীর রেজাউল ইসলাম বাবুর মোবাইলে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে লাইনে কেটে দেন। পরে ফোন দিলেও তিনি আর রিসিভ করেননি।’ কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবির বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।