কুষ্টিয়ায় আরও ১৪ জনের মৃ’ত্যু !! শনাক্ত-৬৭
করোনা সংক্রমণের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলার তালিকায় প্রথম কুষ্টিয়া। অস্বাভাবিক হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ার কারণে কুষ্টিয়ায় আশঙ্কাজনক হারে করোনা সংক্রমণের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন করোনায় ও ১ জন উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন, এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এদের মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৭টি নমুনা পরীক্ষায় আরও ৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
এই দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ২০০ বেডের অনুকুলে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ২২৮ জন। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত রোগী ১৬৮ জন। বাকিরা করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। প্রায় ৭০ শতাংশ রোগীদের অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে।
গত ৭ দিনেই কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১ হাজার ১৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত ৪৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে মানুষ আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় একজনের দ্বারা অনেক লোক আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসককে আরও কঠোর হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটিকে ডেডিকেটেড ঘোষণার পর থেকে রোগীর চাপ বাড়তে আছে। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের লোকবল কম। এ জন্য চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাই চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিনই শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালেও রোগীর চাপ বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।