কুষ্টিয়ায় আরও ১১ জনের মৃ’ত্যু !! শনাক্ত-৮৮
করোনা সংক্রমণের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলার তালিকায় প্রথম কুষ্টিয়া। অস্বাভাবিক হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ার কারণে কুষ্টিয়ায় আশঙ্কাজনক হারে করোনা সংক্রমণের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জন করোনায় ও ৪ জন উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
শনিবার (১৭ জুলাই) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন, এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এদের মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পিসিআর ল্যাবে জেলায় ২৮০ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪২ ভাগ। নতুন শনাক্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরে ৬২ জন, দৌলতপুরে ৩ জন, কুমারখালীতে ৩ জন, মিরপুরে ১৭ জন ও খোকসায় ৩ জন রয়েছেন।
এ দিকে বর্তমানে ২৮৫ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২১৮ জন ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও ৬৭ জন।
এ নিয়ে কুষ্টিয়া জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১১ হাজার ৭৬২ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৫২৫ জন। মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮৭ জনে।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক আক্রামুজ্জামান মিন্টু, কয়েক দিন ধরে কুষ্টিয়ায় রোগী শনাক্ত ও মৃত্যের হার স্থিতি পর্যায়ে আছে। বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে ধরে নিতে হবে বিধিনিষেধই ভালো ছিল। আর তা না হলে বিধিনিষেধ হার কমানোয় কোনো প্রভাব ফেলেনি। তবে এখনো বলার সময় আসেনি, কুষ্টিয়ায় করোনার দাপট কবে নাগাদ কমতে পারে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ এস এম মুসা কবির বলেন, জুলাই মাসজুড়ে করোনা শনাক্ত ও মৃতের হার ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। তবে সচেতন হলে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব। গ্রামের মানুষকে বেশি সচেতন হতে হবে। কেননা, ভর্তি রোগীর বেশির ভাগই গ্রাম থেকে আসছে। মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যেও গ্রামেরই বেশি।