কুষ্টিয়াতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত যুবক !! লাশ নিয়ে বিক্ষোভ
কুষ্টিয়া সদরে প্রতিপক্ষের গুলিতে রাজু আহম্মেদ (৩৭) নিহতের ঘটনায় বিচারের দাবিতে মরদেহ সামনে রেখে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে দাফনের আগে লাশ সামনে রেখে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে ওই এলাকার সর্বস্তরের জনগণ অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ সময় তারা রাজু আহম্মেদ হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, আমরা খুনিদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। ঘুমন্ত অবস্থায় নিজ বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন গুলি করে হত্যা করে রাজুকে। অবিলম্বে রাজু হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে শাস্তির জন্য জোর দাবি জানান তারা।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া দরবেশপুর গ্রামের বাড়িতে তিনি খুন হন। কয়েক মাস ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে রাজুর বিরোধ চলছিল।
ধারণা করা হচ্ছে এর জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। খুনিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, রাতে রাজু বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ প্রতিপক্ষের লোকজন পুরো বাড়ি ঘেরাও করে রাজুকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে বের করে এনে পিস্তল ঠেকিয়ে মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস দুই গ্রুপের মধ্যে কোন্দল চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এ ঘটনা ঘটল।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া সদরে প্রতিপক্ষের গুলিতে রাজু আহম্মেদ (৩৭) নামে ওই যুবক নিহত হন। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রাজু আহম্মেদ দরবেশপুর গ্রামের মুন্তা মন্ডলের ছেলে। তিনি খুলনায় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তার আগে তিনি সিটি ব্যাংকের ঢাকা অফিসের কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতেন বলে পরিবার জানিয়েছে।