করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও রোগী দেখছেন চিকিৎসক!
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও নিয়মিত রোগী দেখা এবং চিকিৎসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কম্পাউন্ডের কোয়ার্টারে বসে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক মো. শরিফুল ইসলাম।
মো. শরিফুল ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তিনি ওই কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের জন্য নির্ধারিত আবাসিক ভবনে থাকেন। তার স্ত্রী সাবরিনা সুলতানাও চিকিৎসক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে তিনি সর্দি, কাশিসহ করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন। এ অবস্থায় তিনি সরকারি কোয়ার্টারে নিয়মিত রোগী দেখেছেন। পরে গত শনিবার (২৬ জুন) পরীক্ষায় তিনি এবং তার স্ত্রীর করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরও তিনি নিয়মিত রোগী দেখেন। তবে রোগীর চিকিৎসাপত্রে চলতি মাসের তারিখ না দিযে মে মাসের তারিখ ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
একটি চিকিৎসাপত্রে দেখা যায়, নীরব নামে ১১ মাস বয়সী একটি শিশুকে তিনি দেখেছেন। কিন্তু চিকিৎসাপত্রে তার তারিখ লিখেছেন ২৬ মে, ২০২১। এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও তিনি অবাধে ঘোরাফেরাও করেছেন। গত সোমবার (২৮ জুন) বিকালে ওই চিৎসককে বোয়ালমারী পৌরসদর এলাকায় ঘোরাফেরা করেছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে।
ঘোরাঘুরির কথা স্বীকার করে শরিফুল ইসলাম বলেন, “পারিবারিক কারণে গত সোমবার বাজার এলাকায় গিয়েছিলাম। এছাড়া নিকট এক আত্মীয় ও পুরাতন রোগীদের সামাজিক দূরত্ব মেনেই সহকর্মীর মাধ্যমে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছি। আর আমার দেওয়া ব্যবস্থাপত্রে কোনো তারিখ ছিলো না। প্রতিপক্ষ কেউ ব্যাকডেটের তারিখ বসিয়ে দিতে পারে।”
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খালেদুর রহমান বলেন, “ওই চিকিৎসককে চূড়ান্ত ভৎর্সনা করা হয়েছে। তিনি রোগী দেখা ও বাইরে বের হওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। আগামীতে এ ব্যাপারে তিনি সতর্ক থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।”