করোণা যুদ্ধের কমান্ডার মেয়র আহম্মেদ আলী

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  04:45 PM, 03 July 2021

করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে সারা বিশ্ব আজ টালমাটাল। বাংলাদেশেও এর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে।

বাংলাদেশের ছোট্র একটি জেলা মেহেরপুর। মাত্র তিনটি উপজেলা নিয়ে গঠিত এই জেলা। তবে জেলাটি ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় হাওয়াই করোনার প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে মেহেরপুর করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি দুই সপ্তাহের লকডাউন ঘোষনা করেছিল। এরইমধ্যে সরকার ঘোষণা করেছেন ৭ দিনের কঠোর লকডাউন। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী প্রথম থেকেই মাঠে রয়েছেন করোনা যুদ্ধের কমান্ডার হিসেবে। মাস্ক বিতরণ ও সচেতনতা সৃষ্টিতে সার্বক্ষনিক কাজ করছেন তিনি। এছাড়া করোণা আক্রান্তদের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি নিজে। তার এই কাজগুলো করার জন্য নিজের উদ্যোগেই স্বেচ্ছাসেবক টিমও গঠন করেছেন তিনি।

মেয়রের পাশে থেকে যে এই করোনা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন তিনি হলেন পৌরসভার স্টাফ জামিরুল ইসলাম টিক্কা বিশ্বাস। তার অভিজ্ঞতা থেকে জানান, মেয়র নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনার সাথে লড়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও করোণা যুদ্ধে তিনি টগবগে যুব কমান্ডার।

প্রথম থেকেই গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী গাংনী পৌরবাসীকে সচেতন করে চলেছেন। করোনা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করছেন। তিনি একজন যোগ্য পৌর পিতা এমন মন্তব্য করেছেন গাংনী পৌর এলাকার অনেকেই।

গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী জানান, জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে আমি এবং আমার কাউন্সিলররা সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছি। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে জনগণের পাশে থাকাটাই জনপ্রতিনিধিদের সবচেয়ে বড় কাজ। জনগনকে সচেতন করাসহ করোণা আক্রান্ত পরিবারের খোঁজ খবর রাখতে সকল স্তরের জনপ্রতিনিধিদের মাঠে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সকলের ঐক্লান্তিক পরিশ্রম ও সচেতনতার মাধ্যমে মহামারি করোনা ভাইরাসকে মোকাবেলা করে আবারো মানুষ সাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে এই প্রত্যাশা করেন তিনি।

আপনার মতামত লিখুন :