একসঙ্গে ২০ প্রেম করে ধরা কলেজছাত্র

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  09:56 AM, 26 September 2020

বগুড়ায় ২০ নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে। ওই কলেজছাত্রের নাম তানজিমুল ইসলাম রিয়ন (২২)। এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলা সাইবার পুলিশের একটি দল গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌধুরীপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

শুক্রবার(২৫অক্টোবর) দুপুরে বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তার তানজিমুল ইসলাম রিয়ন নওগাঁ জেলা সদরের চকদেবপাড়া গ্রামের মৃত তাজুল ইসলাম কবিরাজের ছেলে। তিনি দুঁপচাচিয়া থানার চৌধুরীপাড়ায় তার নানা আবু সাঈদ ফকিরের বাড়িতে বসবাস করেন। রিয়ন দুঁপচাচিয়া উপজেলা সদরের জেকে কলেজের বিএসএস প্রথম বর্ষের ছাত্র। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও দুটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।

সনাতন চক্রবর্তী বলেন, ‘মাত্র ২২ বছর বয়সে মোবাইল ফোনে একসঙ্গে ২০টির অধিক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করেছে প্রতারক রিয়ন। সে প্রেমের অভিনয় করে মেয়েদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে গিয়ে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি ধারণ করে রাখে। পরে তাদের মেসেঞ্জারে ওইসব অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নিতো। অবশেষে বগুড়া শহরের এক স্কুলছাত্রীর এ ধরনের অভিযোগে সাইবার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।’

পুলিশ জানায়, রিয়ন বগুড়া শহরের এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর ভিডিও কল করে ওই ছাত্রীর বিভিন্ন অশ্লীল ছবি ধারণ করে রাখেন। পরে তার মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেন। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই রাতেই বগুড়া সাইবার পুলিশের পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিনের নের্তৃত্বে একটি দল দুপচাঁচিয়া থানার চৌধুরীপাড়া থেকে রিয়নকে গ্রেপ্তার করে।

পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং তার জব্দকৃত ডিভাইস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে করে দেখা যায় রিয়নের সঙ্গে একাধিক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক আছে। এর মধ্যে ২০ জনের বেশি মেয়ের শরীরের বিভিন্ন অংশের অশ্লীল স্থিরচিত্র এবং অশ্লীল ভিডিওচিত্র তার ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জারে সংরক্ষিত রয়েছে। সে মেয়েদের সঙ্গে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও কলে কথা বলার সময় স্ক্রিন রের্কডারের মাধ্যমে ভিডিওচিত্র ও স্থিরচিত্র ধারণ করে পরবর্তী সময়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নিত।’

জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, রিয়নের বিরুদ্ধে সদর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। আজ বিকেলে আদালতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :