এইচএসসির ফরম পূরণের টাকার কি হবে?
দেশে এইবার এইচএসসি সমমান পরীক্ষা অনুঠিত ছাড়াই ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পাশ করছেন নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলিয়ে মোট ১৩ আলখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থী। কিন্তু পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তারা নির্দিষ্ট অর্থ জমা দিয়ে ফর্ম পূরণ করেছিল। যার অংকটা ২০০ কোটি টাকারও বেশি।
পরীক্ষা বাদ দিয়ে জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ফরম পূরণের এই বড় অঙ্কের টাকা কীভাবে ব্যয় হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এইচএসসি পরীক্ষা ২০২০-এর ফরম পূরণ উপলক্ষে শিক্ষা বোর্ডগুলোর বিজ্ঞপ্তিতে দেখা গেছে, নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষা বোর্ডে ফি জমা দিতে হয়েছে এক হাজার ৪৯৫ টাকা। এ ছাড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের জন্য ফি দিতে হয়েছে এক হাজার ৬৯৫ টাকা। সংশ্লিষ্ট কলেজগুলো সোনালী ব্যাংকের সোনালী সেবার মাধ্যমে শিক্ষা বোর্ডে এই ফি জমা দিয়েছে। অনিয়মিত প্রতি পরীক্ষার্থীকে বাড়তি জমা দিতে হয়েছে ১০০ টাকা। সে হিসাবে সব শাখার নিয়মিত শিক্ষার্থীরা বোর্ড ফি জমা দিয়েছে কমপক্ষে ১৬২ কোটি টাকা। আর অনিয়মিত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিতে বোর্ড ফি জমা দিয়েছে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া এক বিষয়ে অনুত্তীর্ণ, দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ণ, মানোন্নয়নের জন্য শিক্ষার্থীরা মিলে দিয়েছেন আরও কমপক্ষে প্রায় ১০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য শিক্ষা বোর্ডগুলো পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রায় ২১৫ কোটি টাকা নিয়েছে।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ড, ঢাকার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণ বাবদ নেওয়া টাকার সিংহভাগই খরচ হয়ে গেছে। আর বকেয়া যে টাকা রয়েছে তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরনের সুযোগ নেই। এ টাকা শিক্ষা বোর্ডের ফান্ডে থাকবে বলে জানান তিনি।