আমঝুপি নীলকুঠিতে গাছ উপড়ে দর্শনার্থীদের ভোগান্তি
মেহেরপুরের ঐতিহাসিক আমঝুপি নীলকুঠিতে গাছ উপড়ে পড়ে দর্শনার্থীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে আমঝুপি নীলকুঠি এলাকার পুলিশ ক্যাম্পের পাশে একটি সুউচ্চ গাছ উপড়ে পড়ে। এতে করে দর্শনার্থীরা অনায়াসে চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অনেকে জানিয়েছেন।
দর্শনার্থীর অনেকেই জানান প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হলেও অদ্যবধি গাছটি অপসারণের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি নীলকুঠি কর্তৃপক্ষ হতে। এতে করে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থীরা তাদের ইচ্ছে মতো ঘুরতে পারছেন না। তাছাড়া গাছটি নীলকুঠি এলাকায় পড়ে থাকায় নীলকুঠির সৌন্দর্য নষ্ট করছে বলেও তিনারা জানান।
ঢাকা থেকে আসা পালকি শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি এ বি বাদল জানান, এমন একটি ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানে বৃহৎ সাইজের মরা গাছ পড়ে থাকা দুঃখজনক। এখানে সকলেই তাদের ইচ্ছে মতো ঘুরবে কিন্তু গাছটি পড়ে থাকায় তা ব্যহত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা থেকে স্ব-পরিবারে ঘুরতে আসা তাজুল ইসলাম বলেন, আমঝুপি নীলকুঠি দর্শনীয় স্থানগুলোর অন্যতম। কিন্তু সৌন্দর্যের লীলাভূমিটি যদি পায়ে হেঁটে ঘুরতে মরা গাছে বাধাগ্রস্ত হতে হয় তাহলে কেমন দেখায়?
কুষ্টিয়ার নিমতলা থেকে আসা মুক্তা খাতুন জানালেন, মেহেরপুরে ঘুরতে আসা মানে মুজিবনগর, আমঝুপি আর ভাটপাড়া নীলকুঠি। যেখানে দেশ-বিদেশের অসংখ্য দর্শনার্থীদের প্রতিদিন ভীড় জমায়। এমন একটি ঐতিহাসিক স্থানে গাছ পড়ে তা চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে এটা বেমানান।
ঢাকায় বসবাসকারী গাংনী উপজেলার মাইলমারী এলাকার মনিরুজ্জামান বলেন, যদিও ঐ দিকটাতে দর্শনার্থীদের তেমন একটা পদচারণা দেখা যায় না। তবুও একটু ছায়া খুঁজতে দুপুরের দিকে অনেকেই ওপাশে যান এবং গাছের নিচে ফুরফুরে বাতাসে বসেন। সেদিক বিবেচনায় গাছটি অপসারণ করা জরুরি।
অপর একজন রাশেদ খান জানান, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থানে মরা গাছ পড়ে থাকা ঠিক নয়। কারণ নীলকুঠি এলাকার প্রাকৃতিক দৃশ্য পাগল করে দর্শনার্থীদের। সেখানে মরা গাছ পড়ে থাকলে সেটা দর্শনার্থীদের জন্য মন খারাপের কারণও হতে পারে। সে হিসেবে দ্রুততম সময়ে তা অপসারণ করাই ভালো।
এব্যাপারে আমঝুপি নীলকুঠি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টিতে ২০/২৫ দিন পূর্বে গাছটি উপড়ে পড়ে। গাছটি মরে শুকিয়ে গেছে। গাছটির সাথে আরও একটি বটের গাছ জন্মেছে। সময় সাপেক্ষে গাছটি অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।