আবারো ভারি বর্ষনের কবলে মেহেরপুরের বোরো চাষিরা
আবারো ভারি বর্ষনের কবলে মেহেরপুরের বোরো ধান চাষিরা।জমির ধান পেকে গেছে। এখন ঘরে তোলার পালা, কিন্তুু দফায় দফায় ঝড় আর বৃষ্টিতে চরম দুভোর্গে পড়েছে চাষিরা। বৃষ্টির ফলে পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ধান ক্ষেত।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে রোদ্রউজ্জল আবহাওয়া থাকলেও বিকেলের পর হঠাৎ পশ্চিম আকাশ মেঘাছন্ন হয়ে শুরু হয় বজ্রসহ বৃষ্টি।এবং তার রাত অবধি চলার পরে থামে। ভারি বৃষ্টি হওয়ায় আবারো ধান ক্ষেতে পানি জমেছে। অনেক কৃষক পানিতে নিমজ্জিত ধানের শিষের অংশ কেটে ধান ঘরে তোলার চেষ্টা করছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় দ্রুত ধান ঘরে তুলতে পারছে না চাষিরা। বেশ কয়েকদিন ধান পানিতে ডুবে থাকায় অধিকাংশ ধান থেকে গাছ বের হতে শুরু করেছে।
কৃষক কামরুল ইসলাম জানান, ঈদের আগেও প্রচণ্ড রোদ পড়েছে। আর ঈদের দিন থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি একদিন বৃষ্টি থামলে পরদিন আবার শুরু হয়। আমাদের মাঠের একটু নিচু জমিতে কেটে রাখা ধান সব এখন পানির নিচে। বতর্মানে ধানে গাছ বাইর হইতে শুরু করেছে। এবার ফসল মনে হয় ঠিকঠাক ঘরে তুলতে পারব না।
আরেক কৃষক জালাল উদ্দিন জানান, একতে শ্রমিক সংকট তার উপর থাইমি থাইমি বৃষ্টি হইছে। ক্ষেত থেকে আমার ধান সব পানির নিচে। তাই বাধ্য হয়ে ধান গাছের মাঝখান থেকে কেটে নিয়ে এসে উচু জায়গাই পালা দিছি। এবছর আমার বাড়িতে থাকা গুরুর খাবারের জন্য বিচালী কিনে খাওয়াতে হবে। মাঝ খান থেকে ধান কাটার জন্য বিচালী কিছু পাবো না। খুব ক্ষতি হইয়ি গেলো।
মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক শষ্য কৃষিবিদ কামরুজ্জামান জানান, জেলায় চলতি মৌসুমে ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এবছর ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৭ হাজার মেট্রিকটন। আমারা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব সময় চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তবে যে নিচু জমি গুলোতে পানি জমেছে সে সকল চাষিদের বলছি আপনারা দ্রুত পানির মধ্য থেকে ধান গুলোকে উঠিয়ে স্থানান্তর করতে। তা নাহলে পানির মধ্যে থাকলে ধান থেকে চারা জন্মাবে।তবে এখনো অধিকাংশ ক্ষেতের ধান কাটতে বাকি আছে।