অনলাইন জুয়ার বাংলাদেশের সেকেণ্ড ম্যান অনিক দুইসহযোগীসহ আটক
অনলাইন জুয়ার বাংলাদেশের সেকেন্ড ম্যান মোস্তাক নাহিদ অনিককে (২২) ও তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।
গত শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-২ এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে অনিক ও হাসিবকে আটক করে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং মুজিবনগরের দারিয়াপুর থেকে রিমেট নামের একজনকে মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি অভিযানিক দল।
আটকরা হলেন-অনলাইন জুয়ার দূর্গ খ্যাত মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর গ্রামের অনলাইন জুয়ার অন্যতম হোতা মাদার আলীর ছেলে মোস্তাক নাহিদ অনিক (২২), কোমরপুর গ্রামের মোস্তাকিন আলীর ছেলে মেহেদী হাসিব (২২), দারিয়াপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে মুশফিকুর রহমান রিমেট (২৩)। রবিবার বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেহেরপুর ডিবির এস আই আশরাফুল ইসলামের নেতৃতে রাজধানীর মিরপুর-২ এলাকার একটি আবাসিক ভবনে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে অনিকের কাছে থেকে দুটি এবং হাসিবের কাছে থেকে একটি অনলাইন জুয়ার চ্যানেলসহ হাতেনাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অনিকের কাছে দুটি অনলাইন চ্যানেলের মধ্যে একটি তার নামে এবং অপরটি তার পিতা মাদারের নামে রয়েছে। প্রতিটি চ্যানেলে গড়ে প্রতিদিন আয় হয় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। পুলিশ আরো জানায়, মোস্তাক নাহিদ অনিক বাংলাদেশের অনলাইন জুয়া কার্যক্রমের সেকেণ্ড ম্যান হিসেবে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে আসছিলো।
বিশ^স্ত একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ তারা জানিয়েছে মেহেরপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে ২০টি চ্যানেল দেওয়া আছে। যেগুলো সিম সরবরাহ করে তার অনিকের পিতা মাদার আলী। আর এগুলো সব নিয়ন্ত্রণ করে অনিক নিজে।
সূত্রে আরো জানা গেছে, রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে অনলাইন জুয়ার পুরো কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে টম (ছদ্মনাম) নামের এক ব্যক্তি। অনিক বাংলাদেশের সেকেণ্ড ম্যান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। অনিকের অনুমোদন ছাড়া কাউকে এ চ্যানেল দেওয়া হয়। এর জন্য অনিক পেয়ে থাকেন চ্যানেলের ৮ শতাংশ এবং টম পান ১৫ শতাংশ। এভাবে মেহেপুরের দুই শতাধিক তরুণ ও বিভিন্ন বয়সের মানুষকে তারা অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িয়েছে। যার অন্যতম দূর্গ মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর।
মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আজমল হোসেন বলেন, আটক আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অনলাইন জুয়ার সাথে সম্পৃক্ততার পাওয়া গেছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।